Printer

প্রিন্টারের মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফল আউটপুট করা যায়। কমিউটারে তৈরি করা হিসাবপত্র, লেখা, গ্রাফিক্স ইত্যাদি প্রিন্টারের সাহায্যে কাগজে ছাপানো যায়। এটি একটি আউটপুট ডিভাইস।
বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয়। যেমন; ডট্ ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার, ইংকজেট প্রিন্টার, লেজার প্রিন্টার।

ডট্ ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার
সাধারনত অফিসিয়াল কাজে এসকল প্রিন্টার বেশি ব্যবহৃত হয়। এই প্রিন্টারে কালির ফিতার উপর পিনের সাহায্যে ডট (.) তৈরি করে বিষয় বস্তু কাগজে ছাপা হয়। এর গ্রাফিক্স খুবই খারাপ মানের হয়। তবে যে সব প্রতিষ্ঠান বিল তৈরি করে তাদের জন্য এটি একটি অতি প্রয়োজনিয় প্রিন্টার। কারন একমাত্র এসব প্রিন্টারই কন্টিনিউয়াস শিট প্রিন্ট করতে পারে এবং প্রিন্ট খরচ খুবই কম। ডট্ মেট্রিক্স প্রিন্টারের হেডে ৯ থেকে ৪৮টি পিন থাকে। পিন সংখ্যা যত বেশি হবে প্রিন্টের মান তত ভাল হবে। প্রিন্ট করার সময় এসকল প্রিন্টার বিরক্তিকর শব্দ সৃষ্টি করে।

ইংকজেট প্রিন্টার
এই ধরনের প্রিন্টার আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন সাইজ ও বিভিন্ন মানের হয়ে থাকে এ সকল প্রিন্টার। সাধারন ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠান ইংকজেট প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকে। এসকল প্রিন্টার সাধারনত রঙ্গিন প্রিন্ট করে। প্রয়োজনে সাদা-কালো প্রিন্টও করা যায়। স্ট্যান্ডার প্রিন্টার গুলো যেমন অল্প মূল্যে পাওয়া যায় তেমনি ফটো-কোয়ালিটির হাই রেজুলুশন প্রিন্টার গুলোর মূল্য প্রচুর। এ প্রিন্টার তরল কালির সাহায্যে প্রিন্ট করে। ফলে অনেক সময় প্রিন্ট করা কাগজে শুকানোর পর হাত লাগাতে হয়।

লেজার প্রিন্টার
এসকল প্রিন্টার মেগনেটিং পাওডার ইংক (চৌম্বকিয় গুড়া কালি) দিয়ে লেজার রশ্মির সাহায্যে কাগজে বিষয় বস্তু ছাপে বা প্রিন্ট করে। লেজার প্রিন্টারের প্রিন্ট কোয়ালিটি খুবই ভাল। বানিজ্যিক কাজে লেজার প্রিন্টার অধিক ব্যবহৃত হয়। প্রকাশনার কাজে এসকল প্রিন্টার বিপ্লব ঘটিয়েছে। লেজার প্রিন্টার সাধারনত সাদা-কালো হয়ে থাকে। এছাড়া রঙ্গিন লেজার প্রিন্টারও আছে তবে এর ব্যবহার তুলনা মূলক কম। সাধারন ব্যবহারকারী এসকল প্রিন্টার খুবই কম ব্যবহার করে থাকে। কারণ, একটি সাধারন মানের লেজার প্রিন্টারের দামও প্রচুর। তবে ইংকজেট প্রিন্টারের তুলনায় এর প্রিন্ট খরচ কম।